কিছুদিন আগেই জিকা ভাইরাস নিয়ে বেশ হইচই পড়ে গিয়েছিল। সেই পরিস্থিতির
আলোকে মস্কিটো রিপেলেন্ট নিয়েও নতুন করে চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। জার্নাল অফ ইনসেক্ট সায়েন্সে প্রকাশিত হওয়া এক গবেষণাপত্রে বিভিন্ন রকমের মস্কিটো রিপেলেন্টের কার্যক্ষমতা তুলে ধরা হয়।
এই গবেষণায় ১১টি পণ্যের কার্যকারিতা দেখা হয়। যদিও এসব পণ্যের বিজ্ঞাপনে
দাবি করা হয় তারা একশোভাগ কার্যকরী, সেখা যায় এগুলোর মাঝে কয়েকটি আসলে মশা
থেকে কোনো রকমের সুরক্ষাই দেয় না।
দেখা যায়, সিট্রোনেলা ক্যান্ডেল মশার ওপর কার্যকরী হয় না, বরং আগের
চাইতে মানুষটির দিকে বেশী আকৃষ্ট হয়। শরীরে স্প্রে করা রিপেলেন্টগুলো সবই
কিছু না কিছু কাজ করে। তবে মশার সংখ্যা বেশী হলে আপনাকে কিছু কামড় খেতেই
হবে। সবচাইতে কার্যকরী হতে দেখা যায় অয়েল অফ লেমন ইউক্যালিপ্টাস স্প্রে,
এবং DEET। এগুলো ৬০ শতাংশ মশা দূর করতে সক্ষম।
কিছু কিছু রিপেলেন্ট আছে যা অলংকারের মতো শরীরে পরলে মশা চলে যাবে মনে
করা হয়। এগুলো তেমন কার্যকরী নয়। এছাড়া সনিক রিপেলার ব্যবহার করে দেখা হয়,
যা কিনা হাই-ফ্রিকোয়েন্সি শব্দ তৈরি করে মশা দূর করার চেষ্টা করে। এটা
একেবারেই অকেজো।
এক ধরণের মেটোফ্লুথ্রিন নেবুলাইজার আছে যা পরিধানকারীর আশেপাশে
কীটনাশক রাসায়নিক মেটোফ্লুথ্রিন একটি ছোট ফ্যানের সাহায্যে ছড়িয়ে দেয়। এটা
মশাকে দূর করতে সক্ষম।
দেখা যাচ্ছে শরীরে স্প্রে করার রিপেলেন্টগুলোই ভালো কাজ করে। তবে
তারাও শতভাগ কার্যকরী নয়, আপনি যদি এমন জায়গায় যেতে চান যেখানে অনেক মশা,
তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েই যাওয়া উচিৎ।
সুত্র: আই এফ এল সায়েন্স
No comments:
Post a Comment