সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী জীব,
পাখি,
সরীসৃপ,
মাছ,
এক
কথায়
সবকিছুই গত
৪০
বছরে
প্রায়
৫০শতাংশ কমে
গেছে
কমে
গেছে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড
বুধবার
জানায়
এই
ভয়াবহ
পরিস্থিতির কথা৷
ডব্লিউডব্লিউএফ-এর
নতুন
রিপোর্টে বলা
হয়েছে
যে,
মাত্রাধিক মাছ
ধরা,
সেই
সঙ্গে
দূষণ
ও
জলবায়ু
পরিবর্তনের ফলে
১৯৭০
থেকে
২০১০,
এই
চল্লিশ
বছরে
সাগরে
তথাকথিত কমার্সিয়াল ফিশ
স্টক
বা
বাণিজ্যিক মাছের
পরিমাণ
বিপুলভাবে কমে
গেছে৷
লিভিং
ব্লু
প্ল্যানেট রিপোর্টের বক্তব্য হলো,
যে
সব
মাছ
বিশ্বের খাদ্য
সরবরাহের জন্য
সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলিই সবচেয়ে
বেশি
প্রভাবিত হয়েছে৷
যেমন
টুনা
আর
ম্যাকারেল মাছ
কমেছে
৭৪
শতাংশ৷
একদিকে
মাছেদের প্রজনন
প্রক্রিয়ার চেয়ে
দ্রুততর হারে
মাছ
ধরা
হচ্ছে;
অন্যদিকে তাদের
ডিম
পাড়ার
জায়গাগুলো ধ্বংস
করা
হচ্ছে
– বলেছেন
ডাব্লিউডাব্লিউএফ ইন্টারন্যাশনাল -এর
প্রধান
মার্কো
লাম্বেরতিনি৷ এছাড়া
বিশ্বের সবচেয়ে
দরিদ্র
মানবগোষ্ঠীদেরই এর
মূল্য
চোকাতে
হচ্ছে,
কেননা
তারাই
তাদের
জীবিকার জন্য
সাগরের
ওপর
নির্ভরশীল৷
মাংসের বদলে মাছ
আজকাল
প্রায়ই
লক্ষ্য
করা
যায়
অনেক
জার্মানই মাংসের
পরিবর্তে নানা
ধরণের
মাছ
খেতে
পছন্দ
করেন৷
বিশেষকরে যাঁরা
স্বাস্থ্য সচেতন
তাঁরা
তো
অবশ্যই৷ মাছে
তেমন
কোনো
চর্বি
নেই,
রয়েছে
প্রচুর
প্রোটিন, যা
শারীরিক ও
মানসিকভাবে মানুষকে ফিট
রাখতে
সহায়তা
করে৷
শুধু
মাছই
নয়,
সেই
সঙ্গে
প্রবাল
দ্বীপ,
ম্যানগ্রোভ বা
শ্বাসমূল অরণ্য
এবং
সামুদ্রিক ঘাস,
সব
কিছু
উধাও
হচ্ছে৷
মনে
রাখা
দরকার,
মাছেদের এক
তৃতীয়াংশ এই
সব
প্রবাল
দ্বীপের উপর
নির্ভর,
যেমন
পৃথিবীর প্রায়
৮৫
কোটি
মানুষের জীবিকা
সামুদ্রিক মাছেদের উপর
নির্ভর৷ প্রবাল
দ্বীপগুলোর অর্ধেক
ইতিমধ্যে অন্তর্হিত হয়েছে,
এবং
বিশ্বের উষ্ণায়ন চলতে
থাকলে,
বাকি
অর্ধেকও ২০৫০
সালের
মধ্যে
উধাও
হবে৷
হাঙর
ও
স্টিং
রে
গোত্রীয় মাছেদের প্রতিটি চারটে
প্রজাতির মধ্যে
একটি
আজ
বিলুপ্ত হওয়ার
মুখে৷
ডাব্লিউডাব্লিউএফ-এর
পক্ষে
বিশ্বের নেতৃ
– তথা
সরকারবর্গের প্রতি
আবেদন
জানানো
ছাড়া
আর
বিশেষ
কিছু
করার
নেই৷
তবে
রিপোর্টে সুরক্ষিত সামুদ্রিক এলাকার
পরিমাণ
২০২০
সালের
মধ্যে
বর্তমান তিন
দশমিক
চার
শতাংশ
থেকে
তিনগুণ
বাড়ানোর ডাক
দেওয়া
হয়েছে৷
‘‘সমুদ্রে যে
গতিতে
পরিবর্তন ঘটছে,
তা
থেকে
বোঝা
যায়
যে,
আর
নষ্ট
করার
মতো
সময়
নেই'',
বলেছেন
লাম্বেরতিনি৷ ‘‘আমাদের
জীবদ্দশাতেই এই
সব
পরিবর্তন ঘটছে৷
আমাদের
এখনই
পথ
বদলাতে
হবে
এবং
আমরা
তা
করার
ক্ষমতা
রাখি৷''
সূত্র: ডি ডব্লিউ
No comments:
Post a Comment