কপালের
মাঝে
টিপ-
তবেই
সম্পূর্ণ হয়
বাঙালী
নারীর
সাজ। শুধু
ঐতিহ্যবাহী পোশাক
কিংবা
শাড়ি
নয়,
আজকাল
পাশ্চাত্য ফ্যাশনেও ব্যবহার হচ্ছে
টিপের
বৈচিত্র। কুনজর থেকে
রক্ষা
করতে
শিশুর
কপালেও
থাকে
কালো
টিপ-
সে
কাজলের
টিপ
সুরক্ষা দেয়
কি
না
দেয়
তা
বিতর্কের বিষয়। তবে
সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত টিপের
মাহাত্ম্য রয়েছে
শারীরিক সুস্থতার ক্ষেত্রে। শুনতে অবাক
লাগলেও
একথা
সত্য-
চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে
মস্তিষ্ক, চোখ
এবং
কানের
অনেক
উপকারিতা নির্ভর
করে
টিপের
উপর। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে
টিপ
শরীরকে
কোন
কোন
ক্ষেত্রে সুস্থ
রাখতে
পারে,
তা
জেনে
রাখা
ভালো-
১.
আমাদের
দু’টি ভ্রুয়ের মাঝখানে টিপ
পরার
প্রচলন
রয়েছে। তার
একটি
প্রধান
কারণ
হল
মস্তিষ্কের এই
জায়গাই সব
গুরুত্বপূর্ণ নার্ভগুলির সংযোগস্থল। এই
জায়গাটি অনেক
ধর্মীয় মতে
তৃতীয়
চোখের
স্থান।
তাই
এই
জায়গায় টিপ
পরলে
তা
আমাদের
শান্ত
ও
জাগ্রত
রাখতে
সাহায্য করে।
শুধু
তাই
নয়,
ছোট্ট
একটি
টিপ
মনোযোগ কিংবা
মেডিটেশনেও সহায়তা করে।
২.
মস্তিষ্কের এই
একটি
স্থানে
আঙুলের
চাপ
মাথা
ব্যাথা
কমাতে
পারে।
শরীরের
এই
অংশে
শিরা
উপশিরা
এক
কেন্দ্রমুখী। ফলে
এই
জায়গাটিতে চাপ
দিলে
শিরা
উপশিরাগুলি শিথিল
হয়,
ব্যাথা
কমে।
তাই
এই
জায়গায়
টিপ
পরলে
মাথার
আরাম
হয়।
৩.
আমাদের
মুখে
যে
সব
শিরা
উপশিরা
ছড়ানো
রয়েছে
তার
কেন্দ্রস্থল হচ্ছে
কপালের
এই
অংশটি।
ফলে
এই
স্থানে
অল্প
চাপ
পড়লে
আমাদের
নাক,
মাথা,
ও
মুখের
রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। এর
ফলে
নাক
বন্ধ
থাকলে
এই
পয়েন্টে চাপ
দিলে
নাক
খুলে
যায়।
সাইনাসের ব্যাথা
থেকেও
মুক্তি
পাওয়া
যায়।
মুখে
রক্ত
সঞ্চালন বাড়ার
ফলে
মুখ
উজ্জ্বল হয়
এবং
তা
বহুদিন
পর্যন্ত মুখে
বলিরেখা ফুটতে
দেয়
না।
৪.
চোখের
শিরার
ফাইবার
বহনকারী শিরার
কেন্দ্রস্থল আমাদের
কপালে।
আমাদের
চোখের
চারপাশে যত
পেশি
রয়েছে
সেগুলো এই
শিরার
সঙ্গে
যুক্ত।
ফলে
এই
স্থানে
চাপ
বা
ম্যাসেজ করলে
তা
আমাদের
চোখের
পক্ষে
উপকারী। দূরের
এবং
কাছের
জিনিসকে স্পষ্ট
করে
দেখতে
চোখের
যে
পেশি
ব্যবহৃত হয়
তাকে
শক্তিশালী রাখতে
পারে
এই
জায়গার ম্যাসেজও।
৫.
ঘুম
বাড়াতে সাহায্য করে
টিপ।
মনকে
শুধু
শান্ত
করা
নয়,
এই
স্থানে
টিপ
পরতে
যে
চাপ
বা
ম্যাসেজ পরে
তাতে
মুখের
শিরা-উপশিরা ও পেশি
শিথিল
হয়।
ফলে
এটি
মানসিক
চাপ
কমাতে
পারে।
প্রতিদিন কয়েক
সেকেন্ডের জন্য
এই
স্থানে
আঙ্গুল
দিয়ে
চাপ
দিলে
ইনসোমনিয়া থেকে
মুক্তি
মিলতে
পারে।
No comments:
Post a Comment