কয়েক দশক ধরে টেলিভিশন আমাদের জীবনের সঙ্গে আঙ্গাআঙ্গি
ভাবে মিশে গেছে। টেলিভিশন ছাড়া একটি দিনও আমরা কল্পনা করতে পারি না। রাতে
ঘুমানোর আগে মুভি দেখা, সকালে খবরের শিরোনাম, সময়ে অসময়ে খেলা দেখা আর
বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য টিভিই যেন একমাত্র ভরসা। যারা টেলিভিশনের পোকা
তাদের জন্য ভয়াবহ দুঃসংবাদ। আর তা হলো অতিরিক্ত টেলিভিশন দেখলে মানুষের আয়ু
কমে যায়। না এটা আমার কথা না। গবেষণায় পাওয়া গেছে এই তথ্য।
অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা এক গবেষণায় দেখেছেন যে, ২৫ বছরের বেশি বয়সী লোকের
প্রতি এক ঘণ্টা টিভি দেখার জন্য তাদের জীবন থেকে ২২ মিনিট আয়ু হারিয়ে
ফেলেন। তাছাড়া যাঁরা তুলনামূলকভাবে টিভি কম দেখেন, তাঁদের চেয়ে বেশি বেশি
টিভি দেখা দর্শকদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকিটা দ্বিগুণ হতে পারে।
ফলাফল ‘ব্রিটিশ জার্নাল অব স্পোর্টস মেডিসিন’ এ প্রদর্শিত হয়। প্রতিদিন গড়ে
ছয় ঘণ্টার উপর ভিত্তি করে এ গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় আরও প্রকাশ করা হয়,
যারা প্রতিদিন গড়ে তিন ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে টিভি দেখেন তারা সাধারণত
দ্রুত মৃত্যুর সম্মুখীন হন।
হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ক্যান্সার ও অন্য যে কোন প্রাণঘাতী রোগে তাদের মৃত্যু হতে পারে। গবেষণাপত্রটি অ্যামেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন সাময়িকীতেও প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের উচিত নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করা, দীর্ঘক্ষণ বসে যে কোন কাজ করার অভ্যাস ত্যাগ করা এবং দিনে ১ থেকে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টা পর্যন্ত টিভি দেখা।
হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ক্যান্সার ও অন্য যে কোন প্রাণঘাতী রোগে তাদের মৃত্যু হতে পারে। গবেষণাপত্রটি অ্যামেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন সাময়িকীতেও প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের উচিত নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করা, দীর্ঘক্ষণ বসে যে কোন কাজ করার অভ্যাস ত্যাগ করা এবং দিনে ১ থেকে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টা পর্যন্ত টিভি দেখা।
স্পেনের প্যামপ্লোনায় ইউনিভার্সিটি অব নাভাররার
জনস্বাস্থ্য বিভাগের চেয়ারম্যান এবং অধ্যাপক মিগুয়েল মার্টিনেজ গঞ্জালেজ
বলছিলেন, অলস বসে সময় অতিবাহিত করার মধ্যে টেলিভিশন দেখা অন্যতম এবং
মানুষের মধ্যে এ ধরনের কাজ করার প্রবণতাটা ক্রমেই আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
মার্টিনেজের নেতৃত্বে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। এর আগে টেলিভিশন দেখার সঙ্গে
মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা চালানো হয়েছিল। সেখানেও বেরিয়ে এসেছিল ভয়াবহ
তথ্য।
No comments:
Post a Comment