চুল পড়ে যাওয়া একটি স্বাভাবিক বিষয়। দিনে অন্তত ১০০টি চুল পড়লে কোনো
সমস্যা হয় না। কিন্তু আপনি যদি খেয়াল করেন চুল অস্বাভাবিকভাবে পড়তে শুরু
করেছে, তাহলে বুঝবেন শরীরে কোনো পুষ্টির ঘাটতি হচ্ছে কিংবা বড় কোনো
পরিবর্তন এসেছে। আপনি হয়তো জানেন না- সাতটি কারণে চুল পড়ে যেতে পারে, যার
তালিকা প্রকাশ করেছে রিডার্স ডায়জেস্ট।
১. সঠিক পরিমাণে প্রোটিন না খাওয়া
প্রতিবার খাবার খাওয়ার সময় পরিমাণমতো প্রোটিন খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ
শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে চুল পড়ে যায়, চুলের রং বদলে যায়। নারীদের
প্রতিদিন অন্তত ৪৬ গ্রাম প্রোটিন খাওয়া প্রয়োজন। প্রোটিন মানে যে মাংস খেতে
হবে এমন কিছু না। ডিম, বাদাম, ওটস, দুধ ও ব্রকোলিতে প্রচুর পরিমাণে
প্রোটিন রয়েছে।
২. সঠিক পরিমাণে আয়রন গ্রহণ না করা
শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে খুব দ্রুত চুল পড়ে যায়। ১৯ থেকে ৫০ বছরের
মধ্যে যেসব নারীরা রয়েছেন তাঁদের দিনে অন্তত ১৮ মিলিগ্রাম আয়রন গ্রহণ
জরুরি। ৫১ থেকে তার ওপরের বয়সী নারীরা প্রতিদিন ৮ মিলিগ্রাম আয়রন গ্রহণ
করবেন। আয়রন সমৃদ্ধ খাবারগুলো প্রতিদিন খাবারের তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন।
পালং শাক, সয়াবিন, ডাল, মটরশুটিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। আর শরীরে
আয়রনের ঘাটতি পূরণের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ খাবেন না।
৩. অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা
কাজের চাপ কিংবা পরিবারিক চাপের কারণে মানুষ মাত্রাতিরিক্ত দুশ্চিন্তা
করে থাকে। এই দুশ্চিন্তার কারণে চুল পড়ে যায়। তবে এই সমস্যা স্থায়ী নয়।
দুশ্চিন্তা কমে গেলে চুল আবার গজাতে শুরু করবে।
৪. চুলে হিট দেওয়া মেশিন ব্যবহার করা
চুল সোজা করতে বা কোঁকড়া করতে আমরা নানা ধরনের মেশিন ব্যবহার করে থাকি।
নিয়মিত এ ধরনের যন্ত্র চুলে ব্যবহার করার কারণে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়। এর
ফলে চুল পড়তে শুরু করে। এমনকি চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়ারও প্রধান কারণ এই হিট
মেশিন।
৫. সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে
গর্ভকালীন সময়ে নারীদের শরীরে অনেক ধরনের পরিবর্তন আসে। বিশেষ করে,
সন্তান জন্ম দেওয়ার পর মায়েদের প্রথম সমস্যা হয় চুল নিয়ে। এ সময়টাতে চুল
পড়তে শুরু করে। একটা সময় চুল পাতলা হয়ে যায়। তবে এর কোনো দ্রুত সমাধান নেই।
৬. থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে
থাইরয়েডের সমস্যার কারণে শুধু শারীরিক সমস্যাই হয় না, এর কারণে আপনার
চুলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কম বয়সে দ্রুত চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। তাই
দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৭. নতুন ঔষধ খাওয়া শুরু করলে
হঠাৎ করেই নতুন ঔষধ খেতে শুরু করলে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে
পারে। কিন্তু এই সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ খাওয়া বন্ধ করবেন
না। চুল পড়ে যাওয়ার কথা ডাক্তারকে দ্রুত জানান। অনেক সময় ঔষধ বদলে দিলে এই
সমস্যা আর থাকে না।
Ads
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
-
Introduction :- The term digital marketing was first used in the 1990s,but digital marketing has roots in the mid-1980s, when the SoftAd ...
-
https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2020/11/14/975592স্ট্রোক এমন একটি রোগ, যা মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে এবং এর ভেতরের ধমনিগুলোকে প্রভাবি...
-
Inductive Sensor There are four types of sensors: inductive, capacitive, ultrasonic, and photoelectric. nductive sensors :...
-
I know, as a blogger, you care your blog design, template or theme you use on your blog. It's reflecting your personality in a way, don...

No comments:
Post a Comment