বিভিন্ন ধরণের ওপর নির্ভর করে এই ডাইয়ের রং। ঠাণ্ডা পরিবেশে কালো
থাকে, গরম পরিবেশে লাল হয়ে যায় এমন ডাই আছে। এর পাশাপাশি আছে কালো থেকে
সাদা, রুপালি থেকে নীল, নীল থেকে সাদা, এবং কালো থেকে হলুদ হবার মতো ডাই।
কয়েকবার ধোয়ার পর এই ডাই চুল থেকে চলে যায়, এতে তেমন কোনো ক্ষতিও হয় না।
কিন্তু কীভাবে কাজ করে এই জাদুকরী হেয়ার ডাই? এটি তৈরিতে ব্যবহার করা
হয়েছে থার্মোক্রোমিক ইঙ্ক। তাপমাত্রা পরিবর্তনের সাথে এর রং পালটায়। সাধারণ
থার্মোক্রোমিক ইঙ্ক বিষাক্ত। এ কারণে আনসিন আরও উন্নত মানের ইঙ্ক তৈরি করে
যাতে মানুষের কোনো ক্ষতি না হয়। তারা বিষাক্ত উপাদানের পরিবর্তে নিরাপদ
কিছু উপাদান ব্যবহার করেন। কার্বনভিত্তিক অণুকে ব্যবহার করে এই ডাই, যে
তাপমাত্রার সাথে সাথে নিজের সাথে একটি অস্থায়ী বিক্রিয়া করে। তাপমাত্রা
একটি নির্দিষ্ট মাত্রা অতিক্রম করলে সে রং পালটে ফেলে।
ডাইয়ের ধরণের ওপর নির্ভর করে কত তাপমাত্রায় সে রং পাল্টাবে। ১৫ ডিগ্রি
সেলসিয়াসে রং পাল্টায় নীল থেকে সাদা হওয়া ডাই। আবার লাল থেকে কালো হওয়া
ডাই ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রং পাল্টায়।
দি আনসিনের প্রতিষ্ঠাতা লরেন বোকার আই এফ এল সায়েন্সকে বলেন তারা এই
ডাই বাজারজাত করতে চান, এ কারণে তাদের পুরো প্রক্রিয়া বলে দেওয়া সম্ভব নয়।
তাছাড়া এখনো সেই ডাইয়ের রেসিপিতে কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
এই ডাইটি অস্থায়ী, তা কয়েকবারে ধুয়ে ফেললে চলে যায়। কিন্তু দি আনসিন
একটি স্থায়ী ডাই তৈরি করতে চান। আরও কিছু পরিবর্তনের কথা তারা ভাবছেন। যেমন
বিল্ডিং এর ভেতরে চুলের একরকম রং থাকবে, আবার বাইরে গেলে আরেক রকম রং হয়ে
যাবে। এমনকি মানুষ লজ্জিত বোধ করলে তার সাথে সাথে চুলের রং পাল্টাবে, এটা
নিয়েও তারা কাজ করতে চান। শুধু চুলের রং পরিবর্তন নয়, বরং তরুণদের মাঝে
বিজ্ঞানের প্রতি কৌতুহল সৃষ্টি করতেও তারা এই পণ্যটি ব্যবহার করতে চান।
সুত্র: আই এফ এল সায়েন্স
No comments:
Post a Comment