ত্বকের উপরের ছোট
মাংসল বৃদ্ধিকে স্কিন ট্যাগ বলা হয়। ডার্মাটোলজিস্টদের ভাষায় একে অ্যাক্রোকরডোন্স
বা কিউটেনিয়াস ট্যাগ বলে। সৌভাগ্যবশত এগুলো সম্পূর্ণ অক্ষতিকর। কিন্তু দেখতে ভালো
দেখায় না বলে আপনার বিরক্তির কারণ হতে পারে এগুলো। নিউ ইয়র্কের ডার্মাটোলজিস্ট ও
এমডি ব্রুস ক্যাটজ বলেন, ‘এরা প্রায়ই এমন জায়গায় হয় যে ঘর্ষণ
লাগে, যেমন- ঘাড়, বাহুর নীচে, কুঁচকিতে হয় বলে ত্বকের সাথে বা কাপড়ের সাথে ঘষা লেগে
যন্ত্রণার সৃষ্টি করতে পারে’।
স্কিন ট্যাগ
সাধারণত জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে। স্থূলকায় মানুষের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে। কারণ
তাদের শরীরে মাংস বেশি থাকে বলে মাংসে মাংসে ঘষার কারণে স্কিন ট্যাগ সৃষ্টি হওয়ার
প্রবণতা দেখা যায়।
আপনার ত্বকে এই ধরনের স্কিনট্যাগ থাকলে আপনি একা নন। প্রতি ৪ জনের মধ্যে ১ জনের স্কিন ট্যাগ থাকতে পারে। বিশেষ
করে ৫০ বছরের বেশী বয়সী মানুষের স্কীন ট্যাগ হতে দেখা যায় বেশি।
অনেকেই স্কিন
ট্যাগের গোড়ায় সুতা বেঁধে রেখে এটি অপসারণ করার চেষ্টা করেন। ক্যাটজ সতর্ক করে
বলেন, ‘এই কাজটি করা একেবারেই উচিৎ নয়। এর ফলে
সংক্রমণ ও দাগ সৃষ্টি হতে পারে’।
ভালো খবর হচ্ছে
এরা খুব সহজেই অপসারিত হয়। এজন্য একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেয়া প্রয়োজন।
লোকাল অ্যানেস্থেশিয়ার মাধ্যমে চিকিৎসক এটি কাঁচি দিয়ে কেটে বাদ দেবেন - বলেন
ক্যাটজ। অন্য সাধারণ উপায় যেমন- অনেক বেশি ঠান্ডা করা বা তাপ দেয়ার মাধ্যমেও ট্যাগ
অপসারণ করা যায়, একে Cauterizing
বলে।
যেকোন উপায়ে ট্যাগ
অপসারণ করতে পারেন আপনি এবং আপনি খুব দ্রুতই স্বাভাবিক কাজে ফিরে যেতে পারবেন। এর
কোন দাগও থাকবে না। এই ট্যাগ পুনরায় ফিরে আসবে না। তবে শরীরের অন্য স্থানে ট্যাগ
হতে পারে।
যদি আপনার স্কিন
ট্যাগ আপনাকে বিরক্ত না করে তাহলে এটি নিয়ে চিন্তা না করাই ভালো। কিন্তু ত্বকের
যেকোন বৃদ্ধির ক্ষেত্রেই যদি লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখা যায় তাহলে অবশ্যই একজন
ডার্মাটোলজিস্টের সাথে দেখা করা জরুরী।
সূত্র: প্রিভেনশন
No comments:
Post a Comment