Ads

Sunday, 20 September 2015

জীবন্ত অবস্থায় কবর দেয়া হয়েছিল যে হতভাগ্য মানুষগুলোকে!

মানুষের জন্ম হবে, জরা আসবে, মুত্যু হবে- এসব তো সাধারণ জিনিস কিন্তু এই সাধারণ আর প্রাকৃতিক জিনিসটাই আর সাধারণ থাকেনা যখন মৃত্যুটা হয় অকল্পনীয়ভাবে নিজের কবরে শুয়ে! হয়তো এর আগে আপনার জীবিতাবস্থায় কবরে চলে যাওয়ার ভয়টা ছিল না মনে কিন্তু আজকের ফিচারের ঘটনাগুলো শুনলে নিশ্চিতভাবে বলে দেওয়া যায় একবার হলেও চিন্তা করবেন আপনি নিজের মৃত্যুর ব্যাপারটি অদ্ভুত লাগছে তো শুনতে? নিজের কবরে শুয়ে মৃত্যু! এমনটাও হয়? হয় আর হয় যে তার প্রমাণ হিসেবে সেই মানুষগুলোর গল্পই আজ রইলো যারা যাদের কবর হয়েছিল জীবন্ত অবস্থায়!
. বাঁচতে চেষ্টা করেছিল যে
১৮০০ শতাব্দীর শেষের দিককার কথা। সেসময় হঠাৎ করেই কেন্টাকির পাইকভিলে একটা অজানা অসুখ ছড়িয়ে পড়ে। আর এই অসুখে প্রথম আক্রান্ত হন একজন নারী। অক্টাভিয়া স্মিথ হ্যাচার। সন্তান জ্যাকবের মৃত্যুর পর অক্টাভিয়া তখন শোকে কাতর। টানা অনেকদিন শয্যাশায়ী হয়ে থাকেন তিনি। আর এরপরই একদিন তাকে মৃতাবস্থায় পাওয়া যায় বিছানায়। অনেকক্ষণ পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে কোন জীবনের অস্তিত্ব না পেয়ে সেদিনই কবর দিয়ে দেওয়া হয় অক্টাভিয়াকে। আসল ঘটনা ঘটে তখন, যখন এরপর গ্রামের আরো বেশকিছু মানুষ মারা যেতে থাকে আর মারা যাওয়ার কিছু সময় পর আবার প্রাণ ফিরে পায়। অদ্ভুত এই অসুখে জীবিত মানুষকেও লাগতে থাকে পুরোপুরি মৃত। মনে আশঙ্কা দেখা দেয় অক্টাভিয়ার স্বামী মি: হ্যাচারের। স্ত্রীর কবর খোঁড়ান তিনি আর আবিষ্কার করেন তার আশঙ্কাই সত্যি! বেঁচে ছিল অক্টাভিয়া। আর সেভাবেই কবর দেওয়া হয়েছিল তাকে। কফিনের অনেকটা অংশ জ্ঞান ফেরার পর ভেঙে ফেলেছিল বেচারী অক্টাভিয়া। সেই ভাঙা টুকরো, হাতের রক্ত আর কাটা আঙ্গুল- সবটাই ছিল কবরে। খালি ছিলনা তার প্রাণটা! এবার সে সত্যিই মারা গিয়েছিল!
. ভালোবাসার মৃত্যু
খুব বেশি আগের কথা নয়! ২০১৪ সালে ২৫ বছর বয়স্ক মিনা এল হাওয়ারি ইন্টারনেটে তার পছন্দের পুরুষটিকে ভালোবেসে ফেলে এবং বেশ অনেকদিন কথাবার্তা চালানোর পর তারা সিদ্ধান্ত নেয় দেখা করার। মরোক্কের ফেজে ১৯ শে মে তে হোটেল রুমে প্রবেশ করে মিনা তার ভালোবাসার মানুষটিকে দেখতে। আর কথার মাঝপথেই হঠাৎ মারা যায় সে! অন্তত সঙ্গী পুরুষটির তাই মনে হয়েছিল। ব্যাপারটা কিন্তু একবারেই সেটা ছিলনা। ডায়াবেটিকের রোগী মিনা তখন চলে গিয়েছিলেন অসুস্থতার গুরুতর পর্যায় ডায়াবেটিক কোমাতে। কী করা উচিত ছির তখন প্রেমিক প্রবরের? পুলিশ বা হাসপাতালকে জানানো নিশ্চয়? তিনি সেটা না করে পেয়ে সাথে সাথে কবর দিয়ে দেন মিনাকে হোটেলের পেছন দিকটায়। পরবর্তীতে পুলিশ জানাজানি হলে খুঁজে পাওয়া যায় মিনাকে। পুরোপুরি মৃতাবস্থায়!
. অসুখের ফাঁকি
১৮৯৩ সালে পেনসিলভেনিয়ার হোয়াইটহ্যাভেনে বেশ সুখে শান্তিতে দিন কাটাচ্ছিলেন মিস্টার আর মিসেস বুগার। হঠাৎ একদিন মিসেস উগার কোনরকম অসুস্থতা ছাড়াই মারা যান। চিকিত্সকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা দিলে কফিনে ঢুকিয়ে ফেলা হয় তার লাশ। দিয়ে দেওয়া হয় কবর। আর কবর দেওয়ার কয়েকদিন পরই হঠাৎ কথায় কথায় মিস্টার বুগারকে মিসেস বুগারের এক আত্মীয় জানান বিয়ের আগে মিসেস বুগারের ভেতরে থাকা নানা রকম রোগের কথা। বিশেষ করে হিস্টিরিয়া। চিন্তায় পড়ে যান বুগার। তার স্ত্রী কি সত্যই মারা গিয়েছিল? নাকি সেটা হিস্টিরিয়ার আক্রমণ ছিল? কবর খোঁড়া হয়। আর পাওয়া যায় মৃত মিসেস বোগারকে। যদিও উপুড় হয়ে শুয়ে ছিলেন তিনি। তার পুরো শরীরে ছিল রক্তের ছাপ। হাতের আঙ্গুলগুলো খেয়ে ফেলা ছিল, যেটা তিনি নিজেই ক্ষুধা বা অন্য কোন কারণে খেয়ে ফেলেন বলে ধারণা করা হয়। এছাড়াও কফিন এর ভেতরের জিনিসপত্রের অবস্থা খুব একটা সুবিধার ছিলনা। সবটা দেখে স্পষ্টই বুঝে গিয়েছিলেন সবাই, আর যাই হোক মিসেস উগার মৃত ছিলেন না!
. মৃত্যুর পাঁচদিন পর ফিরল যে
১৯ বছর বয়সী অ্যাঙ্গেলো হেইসের শখ ছিল মোটরসাইকেল চালানোর। আর সেটা করতে গিয়েই ফ্রান্সপ্রবাসী এই কিশোর মুখোমুখি হয় দুর্ঘটনার। মাথায় প্রচন্ড ধাক্কা লাগে তার। ফলে মারা যায় অ্যাঙ্গেলো। চিকিত্সকদের ভাষায় সেটা তাই ছিল। মারা যাওয়ার তিন দিন পর কবর দেওয়া হয় অ্যাঙ্গেলোকে। তবে সন্দেহ হয় বীমা কোম্পানির। অনেকটা টাকা বীমা করা ছিল অ্যাঙ্গেলোর। আর তাই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতেই কবর দেওয়ার দুইদিন পর কফিন খোলেন তারা। আর খুঁজে পান এক অদ্ভুত ব্যাপার। আর সেটা হচ্ছে অ্যাঙ্গেলোর হৃদপিন্ড সচল আছে এবং সেটা কাজও করছে ঠিকমতন। সাথে সাথে অ্যাঙ্গেলোকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অনেক চেষ্টার পর শেষ অব্দি ফের ফিরিয়ে আনা যায় তাকে বাস্তব জীবনে। মূলত মাথায় চোটের কারণেই সাময়িক নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল অ্যাঙ্গেলোর দেহ বলে মনে করেন অনেকে
তথ্যসূত্র- 10 Horrifying Stories Of People Who Were Buried Alive

No comments:

Post a Comment