রত্ন
ভালোবাসেন না
এমন
মানুষ
খুব
কমই
আছে। বিশেষ
করে
রত্নখচিত নানারকমের অলংকার
গায়ে
জড়াতে
ইতিহাসে কখনোই
কারো
কার্পণ্য দেখা
যায়নি। এমনকি
এ
নিয়ে
যুদ্ধ-সংঘাতও ঘটে গেছে
অনেক। মারা
পড়েছে
অনেক
মানুষ। কিন্তু
তারপরেও রত্নের
প্রতি
আকর্ষণ
মানুষের একেবারেই কমেনি। উল্টো
কিছু
মানুষকে যেন
নেশাতেই আচ্ছন্ন করে
ফেলেছে
অনেক
রত্ন। কুড়িয়েছে মানুষের অভিশাপ!
আর
এমনই
অভিশপ্ত কিছু
ঐতিহাসিক রত্নের
কথাই
দেওয়া
হল
আজকের
ফিচারে।
১. দ্যা হোপ ডায়মন্ড
বিখ্যাত এই
রত্নের
কোন
একটি
অংশ
যার
কাছে
কখনো
ছিল
তারই
কপালে
নেমে
এসেছে
দূর্গতি। বলা
হয়
ভারতীয়
কোন
মূর্তির শরীর
থেকে
তুলে
নিয়ে
আসা
হয়
রত্নটি। পরে
সেটা
চলে
যায়
তাভেরনিয়ারের কাছে,
যাকে
কুকুর
জীবন্তাবস্থায় খেয়ে
ফেলে।
পরবর্তীতে যতজনই
একবার
হলেও
নিজের
আয়ত্ত্বে নিয়েছেন রত্নটি,
ধ্বংস
হয়ে
গিয়েছেন। এর
তালিকায় রয়েছে
মেরি
অ্যান্টোনিটি ও
রাজা
লুইস
১৬
( মাথা
কেটে
ফেলা
হয়
), রাজকন্যা ডি
লামেলে
( জনরোষে
মারা
যান
), জ্যাকুইস কোলেট
( আত্মহত্যা করেন
), সুর্বায়া ( ছুরি
মেরে
খুন
করা
হয়
) এবং
মিসেস
ইভালিন
ম্যাকলিন ( পুরো
পরিবারকে হারান
)সহ
আরো
শত
শত
মানুষ।
২. ব্ল্যাক অরলোভ ডায়মন্ড
পন্ডিচেরীতে অবস্থিত হিন্দু
দেবতা
ব্রহ্মার মূর্তির তিন
চোখের
ভেতরে
এক
চোখ
খুলে
নিয়ে
আসা
হয়
অনেক
আগে।
আর
সেই
একটি
চোখই
হচ্ছে
এই
ব্ল্যাক অরলোভ
ডায়ামন্ড। যাকে
কিনা
দ্যা
আই
অব
ব্রহ্মা ডায়মন্ড বলেও
ডাকা
হয়।
১৯৩২
সালে
আমেরিকায় রত্নটিকে নিয়ে
আসেন
জে.ডব্লিউ প্যারিস আর
মারা
যান
কিছুদিনের ভেতরেই। এর
পরবর্তী মালিক
রাশিয়ার দুই
রাজকন্যাও আত্মহ্যা করেন।
তবে
এরপর
রত্নটির অভিশাপ
কাটাতে
একে
ভেঙ্গে
ফেলা
হয়
বেশ
কয়েকটি
টুকরোয়।
৩. কোহিনুর হীরা
এই
অত্যন্ত মূল্যবান হীরাটিকে লন্ডন
টাওয়ারে মুকুটের বেশ
বড়
একটা
জায়গা
দখল
করে
বসে
থাকতে
দেখা
যায়।
১৮৫০
সালে
এটিকে
ভারত
থেকে
নেওয়া
হয়
এবং
ব্রিটিশ রাজপরিবারে দেওয়া
হয়।
বর্তমানে রানী
অ্যালিজাবেথের মুকুটে
শোভা
পেতে
দেখা
যায়
এটিকে।
তবে
এতে
তার
কোন
ক্ষতি
হয়নি।
কারণ,
কোহিনুরের অভিশাপ
কেবল
পুরুষদের জন্যেই। আর
তাই
এখন
অব্দি
যত
পুরুষই
এই
রত্নকে
ধারণ
করেছেন,
মারা
গিয়েছেন অকালেই!
৪. দ্যা লাইডিয়ান হোয়ার্ড
লাইডিয়ান হোয়ার্ড গহনাটি
সোনার
অনেকগুলো প্লেট,
পট
ও
অন্যান্য জিনিসের সমন্বয়। তবে
গহনাটির ব্রোচ
আর
নেকলেস
এর
মালিকদের জন্যে
শুধু
সমস্যা
ছাড়া
আর
কিছুই
নিয়ে
আসেনি
কখনো।
এটা
রাজা
ক্রোয়েসাসের মালিকানায় ছিল
প্রথমটায়। কিন্তু
সেটাকে
হামলা
করে
ছিনিয়ে
নিয়ে
যায়
ডাকাত
দল
৫৪৭
বিসিতে। তবে
১৯৬৫
সালে
এর
আসল
সমস্যা
শুরু
হয়।
অপরিচিত এক
রাজকন্যার করে
পাওয়া
যায়
এটা।
যেখান
থেকে
তুলে
আনা
হয়
রত্নটিকে। আর
যারা
এই
কাজটি
করে
তাদের
সবাইই
অসুস্থ
হয়ে
পড়ে
আর
পরবর্তীতে মারা
যায়।
৫. দ্যা দিল্লী পার্পল স্যাপফায়ার
৩০
বছর
আগে
পিটার
ট্রেন্ডি প্রথম
এই
রত্নটি
খুঁজে
পায়
এবং
লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে দান
করে।
সেই
থেকে
একটা
বাক্সে
এটা
বন্দীই
ছিল।
এর
সামনে
লিখে
রাখা
ছিল-
“ যেই
এটা
খুলবে,
প্রথমেই এই
সতর্কবানী পড়ে
নেবেনএবং এরপর
রত্নটির সাথে
যা
খুশি
তাই
করতে
পারবে।
তার
প্রতি
আমার
পরামর্শ এটাকে
সমুদ্রে ফেলে
দেওয়ার। “ মনে
করা
হয়
১৮৫৭
সালে
কনপুরের ইন্দ্র
মন্দিরে সংঘর্ষের সময়কার
রত্ন
এটি।
এই
অভিশাপকে ইংল্যান্ডে এনেছিলেন কলোনেল
ডব্লিউ.
ফেরিস,
যিনি
খুব
তাড়াতাড়িই দেউলিয়া হয়ে
পড়েন।
এরপর
সেটাকে
কিনে
নেন
অ্যাডওয়ার্ড হিরণ
অ্যালেন। যিনি
নিজের
দুর্ভাগ্যের জন্যে
দোষী
মনে
করে
বন্ধুকে দিয়ে
দেন
রত্নটি। তার
বন্ধু
খুব
দ্রুতই
ফিরিয়ে
দেয়
সেটা
অ্যাডওয়ার্ডকে যখন
নিজের
কন্ঠস্বর হারিয়ে
ফেলেন
তিনি।
পরবর্তীতে অনেক
চেস্টাতেও এই
রত্নের
পিছু
ছাড়াতে
পারেননি লেখক।
অবশেষে
একটা
সময়
মারা
পড়েন
তিনি।
তথ্যসূত্র-
http://io9.com/6-pieces-of-real-life-cursed-jewelry-that-could-destroy-1...
http://io9.com/6-pieces-of-real-life-cursed-jewelry-that-could-destroy-1...
No comments:
Post a Comment