Ads

Thursday 21 May 2015

আসুন জেনে নিই- … ক্লাউড কম্পিউটিংঃ কি এবং কেন?

আমরা অনেকেই ইতিমধ্যে ক্লাউড কম্পিউটিং শব্দটির সাথে পরিচিত। কি এই ক্লাউড কম্পিউটিং? আসুন জানা যাক……
এক কথায় বলতে গেলে ক্লাউড কম্পিউটিং হল কম্পিউটারের রিসোর্স গুলো যেমন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর সার্ভিস গুলো নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে প্রদান করা। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, মনে করুন আপনার একটি প্রতিষ্ঠান আছে এবং তাতে ৫০০ জন কর্মী কাজ করে। তাহলে আপনাকে এই ৫০০ জন কর্মীর ডাটা (নাম, ছবি, ঠিকানা, বয়স ইত্যাদি) এবং তাদের বেতনের হিসেব রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে সাধারনভাবে আপনাকে যা করতে হবে সেটা হচ্ছে, আপনাকে একটি কাস্টমাইজ সফটওয়্যার কিনতে হবে এবং ডাটা সংরক্ষণের জন্য হার্ডডিস্ক এবং জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু ক্লাউড কম্পিউটিং এর ক্ষেত্রে এত কিছু করার কোন দরকার নেই। কোন সফটওয়্যার এবং অতিরিক্ত হার্ডওয়্যার না কিনেই আপনি অনলাইনে কাজ গুলো করতে পারবেন এবং আপনার মূল্যবান ডাটা অনলাইনেই সংরক্ষণ করতে পারবেন। মূলত এটাকেই বলা হয় ক্লাউড কম্পিউটিং। অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে এতে বাড়তি কোন সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যার এর দরকার নেই!!

ক্লাউড কম্পিউটিং সাধারনত চার ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ
  • Public Cloud
  • Hybrid Cloud
  • Private Cloud
  • Community Cloud
সুবিধাঃ
  • কম খরচঃ যেহেতু কোন আলাদা সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার কেনার প্রয়োজন হয় না। তাই স্বাভাবিক ভাবেই খরচ কম।
  • ব্যবহার বান্ধবঃ ক্লাউড কম্পিউটিং এর কাজ গুলো যেকোনো স্থানে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে কন্ট্রোল করা যায় তাই এটা সহজে ব্যবহার যোগ্য।
  • সফটওয়্যার আপডেটঃ সফটওয়্যার আপডেট এর কোন  প্রয়োজন নেই। এগুলো অটোমেটিক আপডেট হয়ে থাকে। তাই আলাদা কোন মেইনটেন্স খরচ লাগেনা।
  • ডকুমেন্ট কন্ট্রোলঃ ক্লাউড কম্পিউটিং এর ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট সমূহ কন্ট্রোল করতে বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেবার জন্য আলাদা লোকের প্রয়োজন হয়না। অতিরিক্ত লোক ছাড়াই সকল ডকুমেন্ট কন্ট্রোল করা যায়।
  • সিকিউরড  ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে ডাটা হারিয়ে যাতে পারে। হার্ডডিস্ক নষ্ট হওয়া সহ নানাবিধ স্যমস্যা থাকে। এসব হতে ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পূর্ণ মুক্ত। ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পূর্ণ সিকিউর এবং আপনার ডাটা হারানোর বা নষ্ট হবার কোন চান্স থাকে না।

অসুবিধাঃ
  • দ্রুতগতির ইন্টারনেটঃ ক্লাইড কম্পিউটিং এর ক্ষেত্রে এই জিনিসটি সবচাইতে বেশি প্রয়োজন। আমাদের দেশের ইন্টারনেটের কথা চিন্তা করলে ক্লাউড কম্পিউটিং এর স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন বলে মনে হয়।
  • হ্যাকঃ এটি একটি বড় স্যমস্যা। বর্তমান বিশ্বের সকল টেক জায়ান্টদের মাথাব্যাথার কারন। সকল আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়েও হ্যাকারদের দমন করা যাচ্ছে না।
জনপ্রিয় কিছু ক্লাউড কম্পিউটিং অ্যাপ্লিকেশনঃ
  • Google Apps: গুগল অ্যাপস অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ক্লাউড অ্যাপ্লিকেশন। ডকুমেন্ট তরি করা, স্প্রেডশিড তৈরি, স্লাইড শো তৈরি, ক্যালেন্ডার মেইনটেন্স, পার্সোনাল ইমেইল ইত্যাদি সার্ভিস দিয়ে থাকে।
  • Evernote: বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নোট সমূহ খুব সহজে কন্ট্রোল করা, ব্যবহার করা, যেকোনো স্থানে যেই নোট সমূহ ব্যবহার করাতে Evernote খুবই উপকারি।
  • Quickbooks: এটি একটি একাউন্ট সার্ভিস। এর মাধ্যমে ক্যাশ নিয়ন্ত্রন করা, বাজেট তৈরি, বিজনেস রিপোর্ট তৈরি করা যায়।
  • Toggl: এটি একটি জনপ্রিয় টাইম ট্র্যাকিং অ্যাপলিকেশন। প্রোজেক্ট কন্ট্রোল এবং টাইমিং এর জন্য এটা ব্যবহার করা হয়।
  • Box.net: খুবই চমৎকার একটি সার্ভিস। এটা যেকোনো ধরনের ডিভাইস দিয়ে কন্ট্রোল করা যায়। এতে রাখা যেকোনো ফরমেটের ফাইল যেকোনো স্থানে বসে দেখা যায় বা ব্যবহার করা যায়।
  • OneDrive: মাইক্রোসফট এর সার্ভিস। আগে এটি স্কাইড্রাইভ নামে পরিচিত ছিল। দরকারি একটি সার্ভিস। ভার্চুয়াল হার্ডডিস্কও বলা যেতে  পারে। এর মাধ্যমে যে কোন ধরনের ফাইল রাখা এবং তা পিসি থেকে কন্ট্রোল বা অন্যের সাথে খুব সহজে শেয়ার করা যায়।

No comments:

Post a Comment