Ads

Tuesday 21 April 2015

অন্ধরাও ‘দেখতে’ পারবে মোনালিসার সৌন্দর্য!

অন্ধরাও ‘দেখতে’ পারবে মোনালিসার সৌন্দর্য!
যাদের দেখার ক্ষমতা আছে, তারাই এতদিন বিখ্যাত শিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা মোনালিসা দেখে আসছে কিন্তু অন্ধ বা কোন কারণে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলা মানুষ এত বিখ্যাত একটা চিত্রকর্ম দেখা থেকে বঞ্চিত হবে, তাই কি হয়? এবার স্পেনের মাদ্রিদের প্রাডো মিউজিয়ামে এমন এক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে যেখানে অন্ধরাওদেখতেপারবেন বিখ্যাত মোনালিসা
এইদেখতেপারার মানে হলো হাত দিয়ে ছুঁয়ে অনুভব করা। অন্ধদের জন্য এমন ধরনের প্রদর্শনী এবারই প্রথম। প্রদর্শনীতে মোনালিসা ছাড়াও বিশ্ববিখ্যাত আরো ছয়টি চিত্রকর্ম স্থান পাবে। প্রদর্শনীটির নাম দেয়া হয়েছেটাচিং দ্য প্রাডো
চিত্রকর্মগুলোকে মূল চিত্রকর্মের আলোকে ত্রিমাত্রিক রূপ দেয়া হয়েছে। যাতে অন্ধরা এগুলো ছুঁয়ে অনুভব করতে পারে।
একটি বিশেষ পদ্ধতিতে চিত্রকর্মগুলোকে পুনরায় তৈরী করা হয়েছে। বিশেষ পদ্ধতিটির নামডিডো এটা এমন একধরনের প্রিন্টিং পদ্ধতি যাতে মূল ছবির একটি হাইরেজুলেশন ছবি এবং সাথে মুখমণ্ডল, জামাকাপড়সহ অন্যান্য উপাদান এমনভাবে প্রিন্ট করা হয়, যাতে অন্ধরা হাত দিয়ে ছুঁয়ে অনুভব করতে পারে।
রুবেন নামে এক অন্ধ বলেন, আমার জন্য ডিডো হচ্ছে কোন কিছু দেখার বা বোঝার আরেকটি পন্থা, বিশ্বের সাথে আমার সম্পর্কের একটি যোগসূত্র। তিনি বলেন, আমার আঙুলগুলো আমার চোখ। তাদের সাহায্যেই আমি দেখি, অনুভব করি। এমনকি জিনিসটি কেমন হতে পারে সে ধারণাও তৈরী হয়ে যায় আমার।
একটি ডিডো প্রিন্ট করতে ৪০ ঘণ্টার মত সময় লাগে। রংয়ের লেয়ার, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রতিটি অংশের থ্রিডি প্রিন্টিং করা হয় পদ্ধতিতে। চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে মূল চিত্রকর্মটির অনুকরণে রং করা হয়, যাতে মূলটির সাথে কোনরূপ পার্থক্য দৃশ্যমান না থাকে।
অন্ধদের জন্য অসামান্য ব্যবস্থা করার জন্য প্রাডোকে ধন্যবাদ জানিয়ে রুবেন বলেন, প্রাডো এখন সত্যিই সার্বজনীন হয়ে উঠেলো।

অন্ধরাও ‘দেখতে’ পারবে মোনালিসার সৌন্দর্য!

No comments:

Post a Comment